• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ অপরাহ্ন

×

বদলে যাচ্ছে খুলনার আদালত : শুরু হচ্ছে বিচারের রায় ও আদেশের অনলাইন কার্যক্রম

  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২
  • ৪৫৮ পড়েছেন

বদলে যাচ্ছে খুলনার আদালতের বিচারের রায় ও আদেশ প্রকাশের মান্ধাতা আমলের কার্যক্রম। আগামী মাসের মধ্যেই শুরু হচ্ছে বিচারের রায় ও আদেশ অনলাইনে প্রকাশের পরিপূর্ণ কার্যক্রম। ইতিমধ্যেই জেলা জজের আওতাধীন ২৫টি আদালত, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১৫টি আদালত ও মহানগরেরসহ মোট ৫৪টি আদালত এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এ ব্যবস্থায় আর থাকছেনা হাতে লেখা রায় ও আদেশের কপির জন্য দিনের পর দিন ভোগান্তী। গত ১৭ নভেম্বর অধস্তন আদালতের রায় ও আদেশের অনুলিপি আনলাইনে প্রকাশ সংক্রান্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের স্বাক্ষরিত নির্দেশনা পাওয়ার পর এ কার্যক্রমের গতি বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন অনলাইনে আদালতের রায়, আদেশ ও কার্যতালিকা প্রকাশের এ উদ্যোগের ফলে বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তী যেমন লাঘব হবে। তেমনি আদালত ও বিচারিক ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের আস্থাও বাড়বে।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর অধস্তন আদালতের রায় ও আদেশের অনুলিপি আনলাইনে প্রকাশ সংক্রান্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের স্বাক্ষরিত নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ওয়েব-ভিত্তিক যে ওয়েবসাইটটি প্রস্তুত করা হয়েছে তা দ্রততম সময়ে, সহজে ও স্বল্প খরচে বিচার সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অবাধ (বিচার সংক্রান্ত) তথ্য প্রবাহ ও বিচার প্রক্রিয়ায় সহজ অবিগম্যতা নিশ্চিতকরণসহ ‘টেকসই বিচার’ প্রতিষ্ঠা করবে। অধস্তন আদালতের আদেশ ও রায়ের অনুলিপি অনলাইনে প্রকাশিত হলে বিচারকার্যে ও বিচার সংশ্লিষ্ট সকলের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণের সাথে সাথে আদালতের রায় ও আদেশের আইনানুগ যৌক্তিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে, এই উদ্যোগ বিচার সেবা প্রাপ্তিতে ব্যয় ও দুর্ভোগ হ্রাস করে দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচারের সুফল দ্রুত পৌঁছে দিতে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের টেকসই উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এছাড়া আনলাইনে আদালতের আদেশ ও রায় প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে যেন ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও গোপনীয়তা’ সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়ে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অনুসরণীয় নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। তবে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধস্তন আদালতের রায় বা আদেশের অনুলিপি সার্টিফাইড কপি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা পাওয়ার পর জেলা ও দায়রা জজ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চীফ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন সকল আদালতে অনলাইনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে।

বিচার প্রার্থী জেলার কয়রা উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমরা যদি অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের মামলার রায় ও আদেশ বাড়ীতে বসেই জানতে পারি তাহলে আমাদের সময়ও বাঁচবে এবং হয়রানি থেকে রক্ষা পাবো। কারণ আদালতের রায়ের নকল তুলতে অফিসের দ্বারস্থ হতে হয়। এতে বিভিন্ন সময় নানারকম হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেক সময় আদালতের কর্মচারীদের টাকা না দিলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নকল উঠানো যায় না। সেই সাথে কোন মামলার আপিল করতে দেরী হয়ে যায়। আর যদি আমরা অনলাইনের মাধ্যমে দ্রুত রায় ও আদেশ দেখতে পারি তাহলে এসব ভোগান্তী থেকে রক্ষা পাবো।

এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ জানান, অনলাইনের মাধ্যমে অধস্তন আদালতের আদেশ ও রায় প্রকাশ পেলে ভূক্তভোগীরা খুবই সহজেই এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে দূরদূরান্ত থেকে তাদের মামলা অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে। তবে আনলাইনে আদালতের আদেশ ও রায় প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে যেন ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও গোপনীয়তা’ সুরক্ষিত থাকে। অনলাইনে রায় প্রকাশের ফলে মামলার প্রক্রিয়া সহজেই সবার বোধগম্য হবে। বিচার প্রার্থীরা জানতে পারবে কি কারণে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া অনেক আগেই চালু হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন এ তরুন আইনজীবী।

খুলনা জেলা সনাতনধর্মী আইনজীবী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এ্যাড. সমর মন্ডল জানান, অধস্তন আদালতের রায় ও আদেশের অনুলিপি অনলাইনে প্রকাশ সংক্রান্ত যে নির্দেশনা মাননীয় প্রধান বিচারপতি দিয়েছেন এটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। এটাকে আমি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিচার প্রার্থীরা যখন আদালতের কার্যতালিকায় তাদের মামলার পাশে শুধু বিবাদীর বিরুদ্ধে ডিক্রী হয়েছে দেখতে পারেন। কিন্তু আনলাইনের মাধ্যমে মামলা সম্পূর্ণ বিবরণ জানতে পারবেন। বিচারপ্রার্থীরা কি কারণে মামলায় বিজয়ী হয়েছে বা হেরে গেছে সে বিষয়গুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে জানতে পারবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে মামলার আদেশ ও রায় দেওয়ার পর আইনজীবীদের মাধ্যমে নকলের আবেদন করতে হয়। তাকে সিরিয়ালি আসতে হবে। নকলের জন্য কোর্ট ফি জমা দিতে হবে। যিনি নকল তৈরী করবেন তাকে টাকা দিতে হবে। অনেক সময় উপযুক্ত টাকা না দিলে নকল পেতে দেরি হয়। এভাবে বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তীতে পড়তে হয়। এসব কারণে অনেক সময় বিচার প্রার্থীরা হতাশায় ভোগেন। এ প্রক্রিয়ায় খুবই অল্প সময়ের মধ্যে মামলার বিষয়টি জেনে আপিল বা অন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। এতে বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তী অনেক কমে যাবে। এটি সরকারের একটি প্রসংশনীয় পদক্ষেপ। বিচার প্রক্রিয়া তৃণমূল পর্যায়ে বিচারপ্রার্থীদের এবং আইনজীবী দোঁরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। সাধারণ মানুষ নিজেদের বাড়ীতে বসেও তাদের বিচারিক কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে পারবে। এ কার্যক্রমটি যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর হয় সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ আইনজীবী।

খুলনা জেলা জজ কোর্টের পিপি শেখ এনামুল হক জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অনলাইনে অধস্তন আদালতের রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রকাশের জন্য যে ওয়েবসাইটটি চালু করেছে তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। অধস্তন আদালতের আদেশ ও রায়ের অনুলিপি অনলাইনে প্রকাশিত হলে বিচার প্রার্থীসহ আইনজীবী এবং সকলেই উপকৃত হবে। কারণ এতে করে স্বল্প সময়ে আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীরা খুব সহজেই তাদের তথ্য জানতে ও সংগ্রহ করতে পারবে। ফলে তাদের যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহজতর হবে। এতে বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তী লাঘব হবে। একই সাথে বিচারকার্যে ও বিচার সংশ্লিষ্ট সকলের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন এ আইন কর্মকর্তা।

খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, অধস্তন আদালতের রায় ও আদেশের অনুলিপি অনলাইনে প্রকাশ সংক্রান্ত যে নির্দেশনা মাননীয় প্রধান বিচারপতি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাকে আমরা স্বাগতম জানাই। এর মাধ্যমে খুব সহজেই বিচার প্রত্যাশীরা তাদের বিচার প্রক্রিয়া জানতে পারবে। অনেক সময় দেখা যায় কোন আদেশ বা রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়া যায় না। এ আদেশ বা রায় যখন অনলাইনে পাওয়া যাবে তখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার প্রার্থী যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর বিচার বিভাগ পৃথক হয়ে যাওয়ার পর ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়া। এটাই তার একটি বড় অংশ। বিচারিক কার্যক্রমগুলো বিচার প্রার্থী আইনজীবী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট যারা আছে সকলেই জানতে পারবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেই সাথে বিচার বিভাগের কার্যক্রম গতিশীল হচ্ছে। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ওয়েব-ভিত্তিক যে ওয়েবসাইটটি প্রস্তুত করা হয়েছে তা দ্রততম সময়ে, সহজে ও স্বল্প খরচে বিচার সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অবাধ (বিচার সংক্রান্ত) তথ্য প্রবাহ ও বিচার প্রক্রিয়ায় সহজ অবিগম্যতা নিশ্চিতকরণসহ ‘টেকসই বিচার’ প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি আরও জানান, অধস্তন আদালতের আদেশ ও রায়ের অনুলিপি অনলাইনে প্রকাশিত হলে বিচারকার্যে ও বিচার সংশ্লিষ্ট সকলের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণের সাথে সাথে আদালতের রায় ও আদেশের আইনানুগ যৌক্তিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে, এই উদ্যোগ বিচার সেবা প্রাপ্তিতে ব্যয় ও দুর্ভোগ হ্রাস করে দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচারের সুফল দ্রুত পৌঁছে দিতে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের টেকসই উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। সেই সাথে আইনজীবীদের কার্যক্রমকে আরও উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন এ আইনজীবী নেতা।

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এ্যাড. বাবুল হাওলাদার জানান, যেহেতু এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রায়ই সব সেক্টর এখন ডিজিটালাইজড হয়েছে। সারা বিশ্বই এখন অনলাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে আদালতের কার্যক্রম অনলাইনে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে আদেশ ও রায় অনলাইনে প্রকাশ করার যে নির্দেশনা রয়েছে তা অবলম্বে নিম্ন আদালতে কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। এর ফলে বিচার প্রার্থীদের একদিকে যেমন সময় ও পরিশ্রম বাঁচবে তেমনি হয়রানির পাশাপাশি দুর্ণীতি বন্ধের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে। অনেকেই অনেক সময় তথ্য গোপন করে বিচার প্রার্থীদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে সেটা কমবে। ইচ্ছা করলে বিচারপ্রার্থী নিজেই তার মামলার পদক্ষেপগুলো জানতে পারবে। এটা আইনজীবীসহ সকলের জন্য একটি কার্যকরী ব্যবস্থা। সুতরাং উচ্চ আদালতের যে নির্দেশনা রয়েছে সেটা অবিলম্বে নিম্ন আদালত যদি কার্যকর করে তাহলে সার্বিকভাবে সকলেই উপকৃত হবে। এটা কার্যকর করার জন্য যে জনবল এবং কারিগরী সহায়তা প্রয়োজন সরকার সে ব্যবস্থা করলে বিচার অঙ্গণে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন এ নাগরিক নেতা।

খুলনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দ বাগচী জানান, সরকারের উদ্যোগে উচ্চ আদালতের কার্যক্রম ইতিমধ্যেই তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বা ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে উচ্চ আদালত বিচারিক রায়, আদেশ ও মামলার সংক্রান্ত বিচার সূচীর কার্যতালিকা অনলাইনে প্রকাশ করছে। যার সুফল সারা দেশের মানুষই ভোগ করছে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধান বিচারপতি অধঃস্তন আদালতের আদেশ ও রায়সহ বিচারিক কার্যক্রম অনলাইনে প্রকাশের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সেজন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। খুলনার আদালতগুলোতেও খুুবই শীঘ্রই এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আদেশ ও রায় প্রকাশ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা সে লক্ষে কাজ করছি। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুলনার আদালত সমূহ পুরোপুরি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসবে। ফলে দূর দূরান্ত থেকে আসা বিচার প্রার্থীরা এতে বেশি উপকৃত হবে। তাদের ভোগান্তী অনেকটা লাঘব হবে। এবং আদালত ও বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে মানুষ খুব সহজেই তথ্য জানতে পারবে ও আদালতের উপর জনগনের আস্থাও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম জানান, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা তারা পেয়েছেন। অধস্তন আদালতের রায় ও আদেশের অনুলিপি অনলাইনে প্রকাশের নির্দেশনা পাওয়ার পর তারা জেলা জজ আদালতের আওতাধীন সকল আদালতে অনলাইনে তথ্য প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালত, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, বিভাগীয় দ্রুত বিচার আদালতসহ জেলার সবগুলো আদালতে আনলাইনে বিচারিক কার্যক্রম এর রায় ও আদেশ প্রকাশ করার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু কার্যক্রম আনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। এ কার্যক্রমকে সুষ্ঠভাবে সম্পন্নের জন্য প্রতিটি আদালতের স্ট্যানোকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই জেলা সবগুলো আদালতের রায়, আদেশ ও কার্যতালিকা অনলাইনে প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA